এবার ছেলেরাও পাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারের মত প্রতিমাসে হাজার টাকা! কারা করতে পারবেন আবেদন?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পেছনে যে বড় প্রকল্প ছিল, সেটাই হল লক্ষ্মীর ভান্ডার। বলা চলে, এটিই মাননীয়ার ড্রিম প্রজেক্ট। বাংলার মা বোনদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে, তাদের জন্য মাসিক ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি।
প্রথমে 500 টাকা দিলেও বর্তমানে 1000 টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা ভরপুর উপভোগ করলেও ছেলেদের জন্য এধরণের কোনো সুবিধাই উপলব্ধ ছিল না। তাই এবার বড় খবর বাংলার ছেলেদের জন্য।
কি এই প্রকল্প?
প্রকল্পের নাম কৃষক ভাতা প্রকল্প। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একঝুড়ি প্রকল্পের মাঝে নবম সংযোজন এটি। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কৃষকরা মাসে 1000 টাকা করে আর্থিক সহায়তা পাবেন।
কারা পাবেন কৃষক ভাতা?
১. আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা অন্তত ১০ বছর রাজ্যে বসবাস করতে হবে।
২. আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছরের অধিক হতে হবে। তবে তফশিলি জাতি ও উপজাতির কৃষকদের জন্য বয়সের সীমা ৫৫ বছর।
৩. আবেদনকারী কৃষকের নামে সর্বাধিক ১ একর কৃষিজমি থাকতে হবে।
৪. ভূমিহীন কৃষকরাও এই প্রকল্পের (Krishak Bhata Scheme) আওতায় আবেদন করতে পারবেন।
৫. আগে যদি আবেদনকারী কৃষক কেন্দ্র অথবা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনো ভাতা পান, তাহলে তিনি এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
কীভাবে করবেন আবেদন?
অনলাইনে আবেদন করার কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। অফলাইনে আবেদন করার জন্য প্রথমে ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর সেটি একটি A4 কাগজে প্রিন্ট করে সঠিকভাবে নিজের হাতে পূরণ করে ফেলতে হবে। তার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস এর জেরক্স কপি একত্রিত করে একটি খামে ভরে নিতে হবে। এরপর সেটা স্থানীয় ব্লক কৃষি অধিকর্তার অফিসে জমা করে যেতে হবে।
কী কী ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
১. আধার কার্ড বা রেশন কার্ড
২. জমির মালিকানার তথ্য
৩. শারীরিক অক্ষমতার শংসাপত্র
৪. স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের শংসাপত্র
৫. ব্যাঙ্কের পাসবই
৬. অ্যাক্টিভ মোবাইল নম্বর
আবেদন গৃহীত হলে রেজিস্টারড নম্বরে মেসেজ যাবে। এবং মোবাইল মারফতই স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। টাকা ঢুকলেও মেসেজ পাওয়া যাবে। আরও তথ্য জানতে নিয়মিত ওয়েবসাইট দেখতে থাকুন।
Rimtim -এর একজন গুরুত্বপূর্ণ সাব-এডিটর। অটোমোবাইল ও টেকের খবর লিখতে পারদর্শী। চাকরী ও সরকারি আপডেটের দিকেও আগ্রহ রাখে। পড়াশুনা শেষ করে ডিজিটাল মিডিয়া’কে ভবিষ্যতের পথ চলা হিসাবে বেছে নিয়েছে। অবসর সময়ে খেলতে ও ঘুরতে যেতে ভালোবাসে।