মাত্র 250 টাকায় SIP করলেই, LIC গ্রাহকদের হাতে আসবে নিশ্চিত বিপুল অঙ্কের টাকা ৷ LIC Mutual Fund
LIC Mutual Fund: দিনকাল খারাপ! মন্দার দিনে তাই সঞ্চয় করা অত্যন্ত জরুরী। একদিকে যেমন সঞ্চয়ের টাকা ভবিষ্যতের সম্বল অন্যদিকে পরবর্তী প্রজন্মের সুরক্ষারও সম্পদ। বর্তমান সময় আর ফিক্সড ডিপোজিটের নয়, এই সময় মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।
তবে বহু মানুষ আছে যারা বিষয়টা ভালো বোঝেননা বলে সাহস করে লগ্নি করতে ভয় পান। তাদের জন্য সহজতর পন্থা হল SIP বা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। অর্থাৎ প্রতিমাসে অল্প অল্প টাকা ইনভেস্ট করা। সেই টাকাগুলি বিভিন্ন ইক্যুইটি বা ডেট ফান্ডে বিনিয়োগ করা হয়। লম্বা সময় পর সুদসমেত বেশ বড় অঙ্কের লভ্যাংশ ফিরে আসে হাতে।
আর এবার SIP লগ্নিকারীদের জন্য বড় সুখবর দিল LIC। খুব শীঘ্রই লঞ্চ হতে চলেছে LIC Mutual Fund Large and Midcap Fund , যার মাধ্যমে মাত্র ২৫০ টাকা দিয়েই শুরু করা যাবে SIP।
জানা যাচ্ছে, আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহেই LIC মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। LIC মিউচুয়াল ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও এই ঘোষণাটি করেছেন, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যেই আলোড়ন তুলেছে।
SIP মূলত বিনিয়োগের একটা অভ্যাস গড়ে তোলে মানুষের মধ্যে। সঞ্চয়ের প্রবণতা বাড়িয়ে তোলে। এমনিতে বর্তমানে SIP-র ন্যূনতম মাসিক বিনিয়োগের অঙ্ক ৫০০ টাকা। তাই LIC ‘র এই ২৫০ টাকা বিনিয়োগকে মাইক্রো SIP বলা যেতে পারে। এটি মূলত ছোটো বিনিয়োগকারীদের জন্য এক দারুণ সুযোগ তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করবে মাইক্রো SIP?
মাইক্রো SIP-র সবচেয়ে বড়ো সুবিধা হলো, এর মাধ্যমে ছোটো-বড়ো প্রত্যেকেই নিজেদের সাধ্য অনুযায়ী বিনিয়োগ শুরু করতে পারবেন।
ছাত্রছাত্রী, গৃহবধূ, অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কিংবা যাঁরা অল্প আয়ের অধিকারী, তাঁরা তাঁদের পকেট মানি বা অন্যান্য ছোটো সঞ্চয় থেকে মাইক্রো SIP শুরু করতে পারবেন। এর ফলে, ইক্যুইটি ফান্ডে না গিয়ে যাঁরা অন্যান্য নিরাপদ বিকল্পে বিনিয়োগ করতে চান, তাঁদের জন্য এটি হবে একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। তবে মনে রাখা প্রয়োজন, ১৮ বছর ঊর্ধ্ব মানুষরা কেবল বিনিয়োগ করতে পারবে।
পাশাপাশি মাইক্রো SIP তে থাকছে দৈনিক বিনিয়োগের সুবিধাও। দৈনিক ন্যূনতম ১০০ টাকা জমা করে বিনিয়োগ করা যাবে। যাঁরা ইক্যুইটি বা বড়ো অঙ্কের লগ্নি করতে অক্ষম, তাঁদের জন্য এটা বেশ সুবিধার।
LIC মিউচুয়াল ফান্ডের বিষয়ে বাজার বিশেষজ্ঞরা এই নতুন মাইক্রো SIP উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাঁদের মতে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে রিটেল লগ্নিকারীরা আরও বেশি করে লগ্নি করতে পারবেন, যার ফলে দেশের অর্থনীতি ও শেয়ার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিনিয়োগের অঙ্ক ছোটো হলেও লগ্নিকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে।