পূজার আগেই সমস্ত কৃষকদের একাউন্টে ঢুকবে পিএম কিষাণ এর টাকা! কিভাবে পাবেন টাকা? | PM Kisan 2024
PM Kisan 2024: জয় জওয়ান জয় কৃষাণ স্লোগান তুললেও আমাদের দেশে বোধকরি কৃষকরাই একমাত্র যারা ন্যূনতম আয় করে জীবন অতিবাহিত করে থাকে। সেই সব গরিব কৃষিজীবীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি যোজনা।
এখনও পর্যন্ত কৃষকরা পিএম কিষাণের ১৭টি কিস্তির টাকা পেয়েছেন। এবার তাঁরা অপেক্ষায় রয়েছেন ১৮তম কিস্তির জন্য। সরকার সুত্রে খবর, পিএম কিষাণের ১৮ তম কিস্তির টাকার ৫ অক্টোবর আসতে চলেছে। অর্থাৎ, পুজার আগেই সকলের বাঙ্কে টাকা ঢুকে যাবে।
কেন এই টাকা?
২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্প, যার মূল লক্ষ্য দরিদ্র কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকরা সরাসরি সরকারের থেকে অর্থ পান, কোনো মধ্যস্থতার প্রয়োজন হয় না, যা দুর্নীতি হ্রাসে সহায়ক। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে প্রকল্পের ১৭তম কিস্তি বিতরণ করা হয়েছিল।
পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্প কি?
পিএম কিষান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় কৃষকদের বার্ষিক 6,000 টাকা করে দেওয়া হয়। প্রতি 4 মাস অন্তর কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টে সরাসরি 2,000 টাকা পাঠানো হয়। এই ভর্তুকি দিয়ে সার ও বীজ কেনার ক্ষেত্রে সুবিধা পান কৃষকেরা। এছাড়াও, বন্যা বা খরার কারণে ফসল নষ্ট হলেও কিছুটা সুরাহা মেলে কৃষক পরিবারে।
মনে রাখতে হবে, এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করালে অবশ্যই কৃষকদের eKYC সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক।
কিভাবে করবেন eKYC?
মোট দুই ভাবে করা যেতে পারে। প্রথমত, ওটিপি ভিত্তিক ই-কেওয়াইসি যা অনলাইনে করতে হয়। এবং দ্বিতীয়টি অফলাইনে, কোনো কমন সার্ভিস সেন্টারে (CSC) গিয়ে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করতে হবে।
অনলাইনে করার উপায়
প্রথমে পিএম কিষাণের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সেখানে ‘Farmers Corner’ থেকে ‘e-KYC’ অপশন নির্বাচন করুন।এবার আপনার আধার নম্বর লিখে ‘Get OTP’-তে ক্লিক করুন। সবশেষে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে প্রাপ্ত OTP দিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পিএম কিষাণ যোজনার সঙ্গে যুক্ত একজন কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নামের বানান এবং আধার কার্ডে দেওয়া নামের বানান আলাদা বা দুটি নামের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য থাকলে টাকা আসবে না।
আবার, আধার নম্বর ভুল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা IFSC কোড ভুল, লিঙ্গ ভুল থাকলেও আপনি আধার নম্বর ভুল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা IFSC কোড ভুল, লিঙ্গ আধার নম্বর ভুল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর বা IFSC কোড ভুল, লিঙ্গ ভুল থাকলেও আপনি কিস্তির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।